সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
দিনমজুর থেকে রাতারাতি কোটিপতি অনিমা জুয়েলার্স শ্রী সুমন কুমার রায় হেতু কি?
সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান:
রাজশাহীর তানোরে অনিমা
জুয়েলারি মালিক শ্রী সুমন কুমার এর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে জুয়েলারি ব্যবসার আড়ালে রমরমা দাদন (সুদ) ও বন্ধক বানিজ্যর কথা শোনা যাচ্ছে। অভিযোগের তীর উঠেছে থানা মোড়ের কতিপয় কথিত জুয়েলারি মালিকের দিকে কয় বছরে যিনি শূণ্য থেকে কোটি পতি। জুয়েলারি ব্যবসার নামে উচ্চ সুদে দাদন ও সোনা-চাঁদি বন্ধক বাণিজ্যে করছে। আর এদের এসব অপকর্মের কারণে প্রতিষ্ঠিত জুয়েলারি মালিকগণ বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়ছে। এসব অবৈধ কারবার ও হেফাজত আন্দোলনের সময় বায়তুল মোকারাম মার্কেট লুটের সোনা কিনে কোটি পতি হয়েছে বলে মানুষ বলাবলি করছে। হেফাজত আন্দোলনের আগে ও পরে তার সম্পদ অনুসন্ধান করা হলেই অভিযোগের সত্যতা মিলবে।
স্থানীয়রা জানান, কর্মচারী থেকে শ্রী সুমন কুমার রায় তার পরিবারের সবাই দিনমজুর কামলা থেকে কোটিপতি।
কিন্ত্ত তিনি হঠাৎ করেই কয়েক বছরের ব্যবধানে হয়েছেন কোটিপতি। কিনেছেন জায়গা, করেছেন ফ্ল্যাট, দোকান-বাড়িতে এসি ,চড়েন লাখ টাকার মোটর বাইকে।আবার রাজশাহীতে ফ্ল্যাট তার সম্পদের অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ সোনা ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসি। এলাকার মানুষ বিত্তবান হোক সেটা সবাই চাই, তবে তা হতে হবে সোজা পথে। কিন্ত্ত কর্মচারী থেকে একজন শিক্ষানবিশ কর্মচারি হঠাৎ করে এতো টাকার মালিক হয় কিভাবে এটা অবশ্যই তদন্তের দাবি রাখে।তার আয়-ব্যয় ও সম্পদ অর্জন সুত্রের অনুসন্ধান, এসব সম্পদের বিপরীতে সরকারকে কত টাকা আয়কর দেন তার অনুসন্ধানের দাবি করেছেন জনগণ। এখানো যার পরিবারের সকলে দিনমজুর কামলা তিনি কি জাদুর বলে এতো সম্পদের মালিক। শূণ্য থেকে কোটি পতি এই সম্পদ কোন পথে এলো এটা দুদুকের দেখা উচিৎ।
স্থানীয়রা জানায়,সোনা-চাঁদি বন্ধক নিয়ে উচ্চ সুদে দাদনে টাকা দিচ্ছে কতিপয় জুয়েলার্স। এতে প্রতিষ্ঠিত জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ক্ষুন্ন হচ্ছে সুনাম।এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ী মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, থানা মোড়ের এক জুয়েলার্সে বাইশ ক্যারেটের সোনার মালা বন্ধক রেখে হাজারে তিনশ’ টাকা সুদে কুড়ি হাজার টাকা কর্জ নিয়েছিলেন শ্রী সুমন কুমার রায় । কিন্ত্ত সুদাসলে ৩৩ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও তাকে একই ডিজাইনের নিম্নমাণের সোনার
মালা গছিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে সামাজিক মর্যাদার কারণে তিনি এর কোনো প্রতিবাদ করতে পারেননি। অভিনব কায়দায় তারা সুদের ব্যবসা
করে আসছেন। এসব টাকা আদায়ে প্রতিনিয়ত হট্রগোল লেগেই থাকে। কেউ সুদসহ নিদ্রিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে বন্ধকি সোনা ফেরত না দিয়ে তারা নিয়ে নেয়। আবার ক্রয় রশিদ ছাড়াই তারা সোনা-চাঁদি কিনেন। তাদের খপ্পড়ে পড়ে অনেকে ভরি ভরি সোনা-চাঁদি খুঁইয়েছেন বলেও মানুষ বলাবলি করছে। কেউ যদি একভরি সোনা বন্ধক রেখে টাকা নেয়। তবে ফেরত নেবার সময় তা কমে যায় এমন অভিযোগও রয়েছে। তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সুনাম ক্ষুন্ন এবং সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি হচ্ছে।এ বিষয়ে তানোর উপজেলার জুয়েলারি সভাপতি রান্টু হালদার বলেন আমি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। এ নিয়ে শ্রী সুমন কুমার রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Copyright @ 2024 Jonotarsomoy24.com । জনতার সময়২৪. All rights reserved
Leave a Reply